সিরাজগঞ্জের সেই মোতালেবের (৩৫) পেট থেকে আবারো কলমসহ লোহার সুচ ও ঘড়ি বের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় দ্বিতীয় বারের মতো চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। সে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে মোতালেব পেট ব্যথা নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিশেষ পরিক্ষার মাধ্যমে তার পেটে ২৩টি কলম শনাক্ত করা হয় এবং অপারেশনের মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়।
সে সময় মোতালেব চিকিৎসকদের বলেছিল আর কখনো কলম খাবো না এবং সে সুস্থ হওয়ার পর বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু আবারো সে কলম ছাড়াও বাঁশের কঞ্চি, লোহার সুচ ও প্লাস্টিকের ঘড়ি খেয়েছে। এতে সে আবারো পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। তার পরিবারের লোকজন সোমবার সকালে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা মঙ্গলবার বিকেলে তাকে এন্ডোস্কোপি সার্জারির মাধ্যমে তার পেট থেকে ১টি কলম, ৩টি লম্বা সুচ, ১টি বাঁশের কঞ্চি, ১টি প্লাস্টিকের ঘড়ি বের করা হয় এবং চিকিৎসকরা প্রশ্ন রাখেন কিভাবে মোতালেব এসব ধারালো বস্তু আবারো খেতে পারলো? অবশ্য, তার পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, মাতালেব ২০০০ সালে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হয় এবং পরবর্তীতে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।
২০১৮ সাল থেকে সে বিভিন্ন সময় কুড়িয়ে পাওয়া কলম খেতে শুরু করে। ওই হাসপাতালের কনসালটেন্ট এবং এন্ডোস্কোপি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আর চিকিৎসকরা বলেছেন, সে পিকা সিনড্রোম নামে মানসিক রোগে আক্রান্ত। এ কারণে সে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া কলম, লোহার সুচসহ যা পাচ্ছে গিলে খাচ্ছিল। তার চিকিৎসা শেষ হলে স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আসতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।